বর্তমানে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় ২০২৩ গুগল সার্চের একটি অন্যতম টাইটেল। প্রতেক মাসে প্রায় ১০,০০০+ সার্চ করা হয় অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে এই কথাটি লিখে। কিন্তু আসলেই কী মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব? আপনিও কী চান আপনার অবসর সময়টিকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে? 

আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমানে ইনকামের অনেক সাইট থাকলেও বেশির ভাগ সাইটেই বিশ্বাস করে কাজ করা যায় না বা শেষ পর্যন্ত আর টিকে থাকে না । 

তাই আমি আজ আপনাদের মাঝে এমন কিছু অনলাইন ইনকাম এর উপায় শেয়ার করবো যেখানে আপনি বিশ্বাস রেখে কাজ করতে পারবেন । যারা নিয়মিত পেমেন্টে করে যাচ্ছে হাজারও মানুষের । তো চলুন একে একে জানতে শুরু করি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় কীভাবে করা যায়-

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে -
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো কি?

বর্তমানে ইন্টারনেটের বিস্তার ছড়িয়ে পড়াই আয় করার ব্যপারটাও অনেকটায় সহজ হয়ে গেছ । তাই মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করাও একাধিক উপায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজকের পোষ্টে আমরা এমন কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যেগুলো থেকে খুব সহজেই আপনি মোটামোটি ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন । 

এর জন্য শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন এবং সাথে ইন্টারনেট কানেকশন হলেই চলবে। আর হ্যাঁ, মোবাইল এবং ইন্টারনেট ছাড়াও যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন সেটা হল ধৈর্য । 

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ১০ টি উপায়

নিচে যে উপায় গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আশা করি সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন । সবগুলো উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে হবে, মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো-

১.ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ব্লগিং করে আয় একটি নতুন পথে হতে পারে আপনার আয় বাড়ানোর জন্য । এর জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে ব্লগিং কী ? এক কথায় বলতে গেলে ব্লগিং অর্থ লেখালেখি করা । 

অর্থাৎ আপনি যে সাইটিতে আছেন এটা একটি ব্লগসাইট এবং যে আর্টিকেল বা পোষ্ট দেখতে পাচ্ছেন বা পড়ছেন এই প্রক্রিয়াকে যৌথভাবে ব্লগিং বলা হয়। আর এই ব্লগিং একটি মুক্ত পেশা ।  

আপনি যে পেশাতে থাকেন না কেন চাকরিজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী বা অন্যকিছু আপনার সেই কাজের পাশাপাশি মোটামোটি ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় বের করতে পারলেই আপনিও ব্লগিং করে মোবাইল দিয়েই টাকা ইনকাম করতে পারবনে ।

একটা সময় ছিল যখন কোনো লেখা পাবলিশ করতে নানা মাধ্যমে নিকট ছুটাছুটি করতে হতো। এই ছুটাছুটি বা নানান ঝামেলা পোহাতে না পেরে অনেকের প্রতিভা আর সামনে আসতে পারতো না। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে আপনাকে কোনো ঝামেলায় পোহাতে হবে না। 

আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনকে কাজে লাগিয়ে গুগলের ফ্রি প্লাটফর্ম “ব্লগস্পট” ব্যবহার করে একটি ফ্রি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন । তাছাড়াও আপনি যদি নিজে কোনো ব্লগ সাইট তৈরি করতে না চান সেক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্লগেও লিখা লিখি করে ইনকাম করতে পারেন । এই বিষয়ে কোনো কিছু জানতে আগ্রহী হলে কমেন্টে জানাতে পারেন ।

আপনি যখন একটি ফ্রি ব্লগ তৈরী করে ফেলবেন তখন আপনার একটি সুন্দর থিমের প্রয়োজন পড়বে । সুন্দর থিম নির্বাচন করে সেটিকে সুন্দরভাবে কাস্টমাইজেশন করে নিবেন। ভয় বা চিন্তার কিছু নাই এর জন্য আপনাকে কোনো প্রকার কোডিং জানা বা কোর্স করা লাগবে না। ইউটিউবের ফ্রি ভিডিও দেখেই নিজেই নিজের জন্য সুন্দর একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন । 

ব্লগ সাইট তৈরি করার পর আপনি নিয়মিত ( দিনে ১ টি বা ২ দিন পর পর ১ টি অথাবা সপ্তাহে ২ টি) নতুন এবং ইউনিক  আর্টকেল পোষ্ট  করা শুরু করেবেন। যে পোষ্ট গুলো লিখবেন যেগুলো অবশ্যই নিজের মতো করে লিখবেন। কোনো প্রকার কপি-পেস্ট  করা যাবে না। 

আপনার পোষ্ট যতটা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে ইউনিক ভাবে লিখতে পাবেন ততো দ্রুত আপনার ব্লগ টি গুগলে রেঙ্ক করবে এবং  প্রচুর পরিমান ভিজিটর পাবেন। আর এই ভিজিটরকে কাজে লাগিয়ে নানা উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি ব্লগ থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স।

এছাড়াও ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার উল্লেক যোগ্য পদ্ধতি মধ্যে রয়েছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি একই ওয়েবসাইটে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কের আয় করতে পারবেন । 

তবে আপনি যদি দুইভাবেই আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই গুগল এডসেন্স পাওয়ার পর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন । এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে যখন প্রচুর ভিজিটর পাবেন তখন পেইড রিভিউ বা স্পন্সরশিপ অ্যাড থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।

২.ফটো বা ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

দিন যত সামনের দিকে এগোচ্ছে স্মার্টফোন কোম্পনিগুলোও সময়ের সাথে তাল মিলেয়ে তাদের ডিভাইসের মান বৃদ্ধি করে যাচ্ছে । বর্তমান সময়ে আমদের হাতে থাকা স্মার্টফোন গুলোতেও রয়েছে শক্তিশারি ক্যামেরা। 

যেগুলো দিয়ে ভালো মানের ছবি তোলা বা ভিডিও রের্কোড করা সম্ভব। তাই আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি যদি একটু ভালো ছবি ক্যাপচার করতে পারে তাহলে আপনার শখের বশে তোলা ছবি বা ধরান কৃত ভিডিও থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। 

আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময় নানা প্রয়োজনে বা পিকনিক করতে ঘুরতে যায় দেশ বা বিদেশের বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থানে। আর সেই সব দর্শনীয় স্থান থেকে সুন্দর সুন্দর ক্যাপসার করা ছবি বা ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে রাখবেন । 

তার পর বিভিন্ন মাইক্রোস্টক ওয়েবসাইটে কন্টিবিউটর অ্যাকাউন্ট করার মাধ্যমে সেগুলো সেল করতে পারবেন। এরজন্য আপনাকেও কিছু করতে হবে না । শুধু আপনার বাচাই কৃত ফটো ও ভিডিও তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিবেন । 

তাহলেই আপনার কাজ শেষ তারা সেগুলো রিভিউ করে দেখেবে এবং সব ঠিকথাকলে তা এপ্রুভ করে দিবে । এপ্রুভ কৃত ফটো ও ভিডিও তারাই বিক্রয় করবে এবং বিক্রয় কৃত টাকার একটি ভাগ আপানর ড্যাসবোর্ডে যুক্ত হয়ে যাবে। 

একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট আপনার ড্যাস বোর্ডে যুক্ত হলেই তা আপনার পকেটে আনতে পাবেন। এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে কোথায় বিক্রয় করবো? বা ফটো বিক্রি করার সেরা ওয়েবসাইট কোনটি? তাই এই  প্রশ্নের উত্তর এবং আপনাদের সুবিধার্থে সেরা বেসকিছু ওয়েসাইটের নাম দিয়ে দিলাম । 

ফটো বিক্রয়ের জন্য সেরা ১০টি ওয়েবসাইট লিষ্ট
  • আইস্টকক ফটো
  • শাটারস্টক
  • অ্যাডোব স্টক
  • ফ্রি পিকস 
  • অ্যালামি
  • গেটি ইমেজ
  • বিগ স্টক 
  • পিএনজিট্রি
  • ড্রিমসটাইম
  • 123RF
আপনি যে ধরনের ছবিই তুলেন না কেনো উপরে দেয়া ওয়েবসাইটে তা বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

৩.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বর্তমানে সারা বিশ্বেই ইনকামের অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা অনেক সহজ একটি মাধ্যম। আর এই মাধ্যমে ইনকামটাও বেশ ভালো।

কিন্তু এই উপায়ে ইনকাম করার ব্যপারটা অনেকের কাছে অজানা। চলুন আগে জেনে নিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জিনিটা আসলে কী ? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কোনো পন্য বা পরিশেবা যদি আপনির প্রচার করার মাধ্যমে কেউ তা ক্রয় করে তাহলে আপনি সেই পন্য বা পরিবশেবার ক্রয়মূল্যের একটা নির্ধারিত কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে আর এটিকে সহজ ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে । 

এখন আপনি যতো পন্য বিক্রয় করতে পারবেন আপনি তত বেশি কমিশন লাভ করবেন । আর এর জন্য আপনাকে কোনো প্রকার ইনভেষ্ট করা লাগবে না ।

সারা বিশ্বে হাজার হাজার ই-কমার্স কোম্পানি রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলো কোম্পানি আছে যারা সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। আপনি সেখানে একটি  অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হতে পারবেন। 

তারপর তাদের ওয়েবসাইট থেকে পণ্যের লিংক নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত হয়ে তাদের পন্যের প্রচার করবেন । যদি কোনো ব্যক্তি আপনার প্রচার করা লিংক থেকে সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে কোনো পন্য ক্রয় করে তাহলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন ।

আমাদের দেশে বর্তমানে জনপ্রিয় ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন । আরো একটি ই-কমার্স কোম্পানি রকমারি তাদের সাথেও অ্যাফিলিয়েট হয়ে কাজ করতে পাবেন এবং পন্য সেল করে একটি ভালো মানের আয় করতে পারবেন।

৪.ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত । এই ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের পদ্ধতি যেখানে এক জন কর্মী তার নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে ।

অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এমন একটি আয়ের উপায় যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে অবশ্যই আপনাকে কোনো কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করা ।

হ্যাঁ কথা সত্য যে,মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং সেখান থেকে একটি ভালো মানের আয়ও করা সম্ভব। কিন্তু ঐ যে সেক্ষেত্রে আপনার কোনো একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষ হতে হবে। 

চলুন একটি উদাহরন দিই- ধরুন আমি আপনাকে একটি কপিরাইটিং এর কাজ দিলাম। এখন আপনি সেই কাজটি নিলেন কিন্তু তা ভালো মতো করতে পারলেন না, বা আপনি কাজটি সঠিক ভাবে বুঝেনি না।

এবার আপনি যখন কাজটি সাবমিট করবেন বায়ার কাজটি নিয়ে খুশি হবে না, নেগেটিভ একটা রিভিউ আসবে। আর এই ভাবে কিছু নেগেটিভ রিভিউ আপনার প্রোফাইল এর বারোটা বাজিয়ে দিবে ।

সুতারাং আমার মতে যে কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান সেই বিষয়ে একটি ধরনা তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা । আমাদের দেশেও অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন।

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে শুরু করা যায় এমন কাজের কথা বলতে গেলে- কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন, কপিরাইটিং, ব্লগ কমেন্টিং,ডাটা এন্ট্রি, ফোরাম পোস্টিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট,প্রুফরিডিং, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন সহ আরো নানা ধরনের জনপ্রিয় কাজ রয়েছে । আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনও করতে পারেন ।

৫.ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ইউটিউব এই নামটি আমাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। ইউটিউব ব্যবহার করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ইউটিউব থেকে আয় করা যায় এই কথাটি সাবাই জানলেও কীভাবে ইনকাম হয় এই বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। 

ইউটিউবে আমরা যখন কোনো ভিডিও প্লে করি তখন ভিডিওর শুরুতে, মাঝে বা শেষে যে অ্যাড গুলো আসে এই অ্যাড থেকেই মূলত ইনকাম হয়ে থাকে। 

এই  অ্যাড থেকে যে ইনকাম হয় তার প্রায় ৫১% ইউটিউব রেখে দেয় । বাকি ৪৯% চ্যানেল ওনার পেয়ে থাকে। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি কে কাজে লাগিয়ে আপনিও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। 

কীভাবে শুরু করবেন ?

ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে প্রথমে আপনাকে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। তারপর সেটিকে কাস্টমাইজ করে চ্যানলে সম্পর্কে অ্যাবাউটে লিখবেন আপনি কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে চান । যাতে করে আপনার চ্যানেলে প্রতি ভিউয়ার দের একটি আস্থা তৈরি হয়।

কোন বিষয়ে বা কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন ?

সব কিছুই তো বুঝলাম কিন্তু ভিডিও বানাবো কী নিয়ে? এটির উত্তর হচ্ছে, এমন কোনো বিষয় পছন্দ করবেন যেটি সম্পর্কে আপনি কমবেশি জানেন বা যে বিষয়টি আপনার কাছে অত্যন্ত প্রিয় যেটি করতে আপনার বেশ ভালো লাগবে । 

এরপর সেই সম্পকৃত কিছু চ্যানেল ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করুন । তাদের ভিডিও দেখুন আর নিজে সেখান থেকে কিছু শেখার চেষ্ট করুন।

কোন অ্যাপস ব্যবহার করবো ?

বর্তমানে মোবাইলের জন্যও অনেক পাওয়ারফুল অ্যাপস আছে যেগুলো দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সমস্ত কাজ করতে পারবনে। ভিডিও তৈরি করতে কিছু জনপ্রিয় অ্যাপস- 

স্কিন রেকর্ড করার জন্য mobizen ও du recorder ভিডিও এডিট করার জন্য kineMaster,CapCut বা Inshot অডিও রেকোর্ড করতে Recforge অডিও এডিট করতে Lexis audio editor বা Dolby on। 

পারসোনালি আমার কাছে এই গুলো ভালো মনে হয়েছে তাই আপনাদের বলে দিলাম। এছাড়ও অনেক অ্যাপস পেয়ে যাবেন । 
 
ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করার পর আপানার চ্যানেলে যখন ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূর্ণ হবে তখন গুগল এডসেন্স এর মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করতে পারবেন। 

এছাড়াও যখন আপনার চ্যানের পপুলার হবে তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহ স্পন্সর এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন । 

৬. ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং টিকটক থেকে আয় 

এই তিনিটি প্লাট ফরম নিয়ে বেশি কিছু বলবো না । কারন ইউটিবে আপনি যে ভিডিও দিয়ে আয় করবেন সেই একই ভিডিও দিয়ে আপনি এই তিনিটি সহ আরো আরো প্লাট ফরম এর মাধ্যমে আয় করতে পাবেন। 

সুতারাং অনলাইনের আয়ের সেরা ইনকাম টপিক হলো ভিডিও । জনপ্রিয় এই প্লাট ফরমের যেকোনো টিতে আপনি যদি একবার ভাইরার হতে পারেন তো আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না । 

ইউটিউবের মতো এদের ও কিছু শর্ত আছে যেগুলো পূর্ণ হলেই আপনির আয় শুরু হয়ে যাবে । যেমন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম এর ক্ষেত্রে ৫ হাজার ফলোয়ার এবং ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম। ভয়ের কিছুই নাই, ইউটিউব এর থেকে দ্রুত ফেসবুকে এই শর্ত পূর্ণ হয়ে যায়।

৭.মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হলো এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ছোটো ছোট এবং সহজ কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এখানে মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় দিয়েই কাজ করা যায়। 

মাইক্রোওয়ার্ক সাইটের ছোট ছোট কাজ বলতে, যেমন- ফেসবুক, টুইটার,ইনস্ট্রাগ্রাম সহ নানা ধরনের সোশ্যালর প্লাটফরমে পোস্ট শেয়ার,  ইউটিউব এর ভিডিও দেখা বা সাবস্ক্রাইব করা, ভিডিওতে কমেন্ট করা, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করা, ইমেইল সাইনআপ করা ইত্যাদি। 

এই ধরনের ছোট ছোট কাজ করেও মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে আয় করা যায়।মাইক্রোওয়ার্কাস্, পিকোওয়ার্কাস্ ও র‌্যাপিডওয়ার্কাস জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট।

৮.টেরাবক্স অ্যাপস থেকে আয়

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় অ্যাপস টেরাবক্স। প্রথমে বলি টেরাবক্স কী? সহজ কথাই টেরাবক্স হলো গুগল ড্রাইভ এর ন্যায় । তবে গুগল ড্রাইভে আপনি মাত্র ১৫ জিবি স্পেস পাবেন এবং কোনো টাকা আয় করতে পারবেন না। 

কিন্তু টেরাবক্সে আপনি ফ্রি ১০২৪ জিবি স্পেস পাবেন এবং যেকোনো প্রকার ফাইল আপলোড করে লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

টেরাবক্স এ কোনো ফাইল, পিকসার, ভিডিও ইত্যাদি আপলোড করে সেই লিংক যখন আপনি কাউকে শেয়ার করবেন তখন সেই লিংক থেকে কেউ আপনার আপলোড করা ফাইল ডাউনলোড করতে গেলে তার সামনে অ্যাড দেখাবে । 

আর ঐ অ্যাডের একটা রেভিনিউ আপানাকে দিবে। মাত্র ২০ ডলার হলেই আপনি এখান থেকে টাকা তুলতে পারবেন ।

৯.ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

যদিও এটা মোবাইল দিয়ে আয় করার সাথে সরাসরি সম্পকৃত না তারপরেও এটি লিষ্টে রাখতে হলো। বাইরের দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশও এখন এগিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবল। 

আপনার কাছে যদি স্মার্টফোনের পাশাপাশি একটি সাইকেল বা বাইক থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন দেশের নামি দামি কোম্পানির ডেলিভারি সার্ভিসে। এই ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজটি পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম আপনার ইচ্ছামত করতে পারবেন। বর্তমানে এই কাজটি করেও একটি ভালো মানের আয় করা সম্ভব ।

১০.PTC সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

PTC এর পূর্ণ অর্থ হলো Pay to Click । অনলাইনে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে বিভিন্ন অ্যাড দেখা বা অ্যাডে ক্লিক করার জন্য পেমেন্ট করে থাকে। এই কাজটি খুব সহজ কাজ কিন্তু বর্তমানে এমন অনেক PTC সাইট আছে যারা অনেকের সাথে প্রতারণা করছে। তাছাড়া অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আবার ইনভেষ্ট করতে বলে । 

তারপর দেখা যায় এক পর্যায় তাদের ওয়েবসাইট আর নেই। সুতারাং ইনভেষ্ট করলে তাদের পুরানো রিভিউ দেখে তারা কত বছর ধরে মার্কেটে আছে সেটা দেখে তারপর চিন্তা ভাবনা করে কাজ করবেন। 

তাছাড় ফ্রি তে যে PTC সাইট গুলো আছে সেগুলো ইনকাম হয় কিন্তু সেটা খুবই কম । সারা মাস কাজ করে দেখা যাবে আপনার ইন্টারনেট বিলও হবে না । 

আমাদের শেষ কথা 

আশাকরি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি সেরা উপায় গুলো এই তালিকায় যুক্ত ধরে তা বিস্তারিতে ভাবে বলার। একটা প্রশ্ন হয়তো আপনার মাথায় আসতে পারে এতো এতো সাইট থাকতে এগুলো কেন? আসলে আপনি ইউটিউবে যখন সার্চ করবেন কীভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়? 

ইউটিউব আপনার সামনে হাজারো ভিডিও দিয়ে বসে থাকবে । সেখান থেকে যে ভিডিও আপনি দেখবেন তারা আপনার ইনকাম করা থেকে শুরু করে পেমেন্ট নেওয়া সব দেখাবে এবং সাথে একটা কথা বলে দিবে 

ডেসক্রিপশন লিংক দেয়া থাকবে সেখান থেকে খুব সহজেই জয়েন করতে পারবেন (দয়া করে এটা কেউ অন্য ভাবে নিবেন না। এই যে আপনি তার লিংক থেকে জয়েন করে ফেললেন । 

সবশেষ আপনি সারা মাস খেটে খেটে ২ থেকে ৫ ডলার ইনকাম করলেন কিন্তু তা পকেটে আনতে পারবেন না । কারন মিনিমাম যে টাকাটা সেইটায় করতে আপনি হাপিয়ে গেছেন । কিন্তু আপনি যে জয়েন করেছেন তার একটি কমিশনে সে কিন্তু পকেট গরম করে ফেলেছে । 
কেন না সে শুধু আপনার কমিশন না এই রকম অনেকের কমিশন পাবে । কোনো কাজ না করেও সে টাকা তুলতে পারেবে । 

তাই আপনাদের প্রতি আমার একটি সাজেশন থাকবে ছোট ছোট কাজে সহজে ইনকাম হবে না ভেবে একটি ভালো মানের কাজ বেচে নিন এবং মনোযোগ দিয়ে সেইটি করতে থাকুন । দেখবেন সফলতা আসবেই। 

কাজের শুরুতেই ইনকামের আশা করবেন না কেননা আপনি যদি কোনো কোম্পানিতে চাকরি করেন সেখানে টানা এক মাস কাজের শেষে বেতন প্রদান করে । সুতারাং ধৈর্য ধরান করতে হবে ।

আজ এই পর্যন্তই । সম্পুর্ণ পোষ্টি পড়ে কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । আর আমাদের জন্য আপনার কোনো সাজেশন থাকেলে সেটিও জানেবন । ধন্যবাদ 

Post a Comment

Previous Post Next Post