কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়ঃ- আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। কন্টেন্ট রাইটিং এমন একটি বিষয় যেটা মার্কেটিং জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকে মনে করি কন্টেন্ট রাইটিং বলতে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কোনো বিষয়ে আর্টিকেল লেখা। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয় ।
আপনি যদি একটি বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য লিখেন সেটিও কন্টেন্ট আবার যদি ইউটিউবে ভিডিও তৈরির পূর্বে থেকে স্ক্রিপ্ট লিখেন সেটিও কন্টেন্ট ।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটং নিয়ে । এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, কন্টেন্ট রাইটিং কি ? ও কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় ।
কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর আজ আমরা এমন কিছু কৌশল শিখবো, যেই কৌশল গুলোকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার বা ব্লগিং ক্যারিয়ার কে যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় ।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কন্টেন্ট রাইটিং কি ? কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শেখা যায় ও কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক ।
কন্টেন্ট রাইটিং কি
কন্টেন্ট রাইটিং বলতে মূলত আর্টিকেল রাইটিং বা কোনো একটি বিষয় এর উপর লিখালিখি করাকে বোঝায়। নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও কৌশল কে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ওয়েব কন্টেন্টের পরিকল্পনা করা, কন্টেন্ট লেখা ও এডিটিং এর প্রক্রিয়াকে কন্টেন্ট রাইটিং বলে ।
আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লিখতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের জন্যও লিখতে পারেন অথবা আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে ফিল্যান্সিং ও করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে একজন কন্টেন্ট রাইটার বা আর্টিকেল রাইটার হিসেবে চাকরিও করতে পারেন এবং সেই কোম্পানির যে ক্লাইন্ট বা কাস্টমার আছে সেই কাস্টমারদের জন্য আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লেখালেখি করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার?
কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার এটা সঠিক ভাবে বলা যায় না, এর ক্ষেত্র বিশাল। তবে বিভিন্ন প্রকার কন্টেন্ট রাইটিং মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো-
- ব্লগ পোষ্ট রাইটিং
- ইমেইল রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্ট রাইটিং
- রিভিউ
- ইবুক
- কপিরাইটিং
- বিজ্ঞাপন এবং প্রোমো রাইটিং
- ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিং ইত্যাদি ।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়
এবার চলুন কন্টেন্ট রাইটিং কিছু কৌশল শিখে নেয়া যাক যেগুলো এ্যাপ্লাই করলে আপনি যথেষ্ট ইমপ্রুভমেন্ট দেখতে পাবেন আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং ক্যারিয়ারে।
শুরুতেই আমি আপনাকে যে কৌশল টি বলতে যাচ্ছি, এই কৌশলটি বিশেষ করে যারা একেবারেই নতুন, কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং শুরু করতে চাই কিন্তু বুঝে উঠতে পারছে না, যে আমি কোন নিসটা নিয়ে শুরু করবো কোন নিস টাতে প্রফিট বেশি,
কোনটা নিয়ে কাজ করলে দ্রুত আমি সাকসেস হবো এবং এই বিষয় গুলো নিয়েই চিন্তাভাবনা করতে করতেই সমস্ত সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু শুরু আর হয়ে ওঠে না।
আরো পড়ুনঃ অন পেজ এসইও কী? কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয়?
এই ক্ষেত্রে আপনার প্রতি আমার যে সাজেশনটা থাকবে, যে বিষয় গুলো আপনি অলরেডি শিখে ফেলছেন বা যে বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে আপনার ভালো লাগে ,সেই বিষয় গুলোর উপরেই আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখা শুরু করতে পারেন ।
আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিষয় জানি। কিন্তু একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করি না বিধায় সেই গুলো আমরা বের করতে পারি না।
সারাক্ষন খুঁজতে থাকি যে কোন বিষয় টা নিয়ে লেখা যায়। আমি আপনাকে কয়েকটা উদাহারণ দিই ধরুন আপনি এটা পারেন , যে কিভাবে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হয়। আবার আপনি পারেন কি ভাবে একটি চ্যানেলেকে সুন্দর ভাবে কাস্টমাইজ করতে হয়।
ফটোশপ ব্যবহার করে কিভাবে একটা ফোটো ইডিটিং করতে হয়, ওয়ার্ডপ্রেস এর মতো সফটওয়্যার কে ব্যবহার করে কিভাবে একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল দিয়ে কিভাবে অফিসের কাজগুলো গুছিয়ে করা যায়। ফেসবুকে কিভাবে একটা ফ্যান পেজ তৈরি করতে হয়, কিভাবে সেই পেজে একটি প্রোফাইল, ব্যানার ইমেজ আপলোড করতে হয়। কিভাবে ভিডিও এডিটিং করতে হয়।
এই যে উপরে বর্নিত বিয়ষ গুলো মোটামোটি এখন প্রায় সবাই জানি, এগুলো নিয়ে লিখেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিস করতে পারেন।
একটু বসে চিন্তা করলেই এরকম অনেকগুলো ছোট ছোট আর্টিকেল তৈরি করে ফেলতে পারেন এবং তা আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস করতে পারেন।
যে বিষয়টি আপনি যানেন না বা কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করলে বেসি প্রোফিটেবল হবে এগুলো নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট না করে আপনি যেগুলো জানেন তা নিয়ে আর্টিকেল লিখতে থাকেন।
এক সময় দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটেও অনেক গুলো আর্টিকেল হয়ে গেছে। এবার আর একটি কৌশলে যাওয়া যাক
চেইন কন্টেন্ট
এখন আবার আপনার মাথায় একটি প্রশ্ন আসতে পারে Chain Content কি? ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল পাবলিস করলেন কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়? ঠিক তারপর আর একটি আর্টিকেল পোষ্ট করবেন কিভাবে ফেসবুক পেজের লোগো এবং ব্যানার যুক্ত করতে হয়।
কিভাবে ফেসবুক পেজের ক্যাটাগরি, অ্যাবাউট , সোশ্যাল লিংক যুক্ত করতে হয়। এই যেই আর্টিকেল গুলোর কথা আমি বললাম তার সবগুলোই একটি অপরটির সাথে সম্পর্কিত।
এখন যে ভিজিটর আপনার ফেসবুক পেজ কীভাবে তৈরি করতে হয় এই আর্টিকেলটি পড়তে ভিজিট করবে তার কিন্তু বাকি আর্টিকেল গুলোরও প্রয়োজন হবে। অথাৎ এই ভিজিটর আপনার একটি আর্টিকেল পরতে এসে বাকি গুলোও পড়তে শুরু করবে। এইটাকে মুলত বলা হয় চেইন কন্টেন্ট ।
আমাদের শেষকথা
আপনি যখন নিজের জানা বিষয় গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখা শুরু করবেন তার পাশাপাশি নির্দিষ্ট নিস সম্পর্কিত আর্টিকেল গুগুলে সার্চকরুন। দেখুন অনেকে সেই বিষয়ে লেখা লেখি করেছে, সেগুলো পড়ুন এবং সেখান থেকে একটা আইডিয়া তৈরি করে নিন। ইউটিউবে সে সম্পর্কিত ভিডিও দেখুন ।
এবার নিজের মতো করে সাজিয়ে আর্টিকেল লিখতে থাকুন। আপনি যত পড়বেন ততো সুন্দর করে আপনি আপনার আর্টিকেল সাঝাতে পারবেন।
আজ এই পর্যন্তই, কেমন লাগলো আমাদের আজকের কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় আর্টিকেলটি তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।