মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর। আমাদের আজকের আর্টিকেল মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করবো ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৫টি এন্ড্রয়েড অ্যাপ নিয়ে। 

বর্তমান সময়ে দিন যত সামনের দিকে যাচ্ছে, ভিডিও ব্যাপারটা ঠিক কতটা যে এগোচ্ছে তা তো আর বলে বোঝানোর প্রয়োজন নায়। তার সাথে সাথে বেড়েছে চলেছে নানা রকমের প্লাটফরমও।

আমরা সাবাই নানা ধরনের সেই সব প্লাটফরমের জন্য ভিডিও তৈরি করে থাকি। কেউ তৈরি করছি ইউটিউবের(Youtube) জন্য, কেউ ফেসবুক(Facebook) এর জন্য কেউ আবার ইন্সটাগ্রাম (Instagram) আরও তো আছেই।

আর এই নানা প্লাটফরমের জন্য যে ভিডিও গুলো আমরা অনেকেই করে থাকি আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই । কেননা বর্তমান সময়ের স্মার্ট ফোন গুলেতে রয়েছে ভালো ভালো ক্যামেরা। 

আর আমাদের সেই সব ধরন কৃত ফুটেজ গুলো এডিট করার জন্য সাবাই তো আর এডোবি প্রিমিয়ার প্রো (adobe premiere pro) এর মতো ভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারি না। 

তাছাড়া আমরা চাইলে খুব সহজেই আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই অসাধারণ ভিডিও তৈরি করে ফেলতে পারি। এই অসাধারন সব ভিডিও তৈরি করার জন্য আজকে আমরা সেরা পাঁচটি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা কববো। 

যে ৫ টি অ্যাপস নিয়ে আমার কথা বলবো তার মধ্যে সম্পুর্ন প্রোপেশনাল অ্যাপও রয়েছে আবার বেসিক অ্যাপ রয়েছে। 

আরো মজার বিষয় হচ্ছে এর মধ্যে আপনার ফোন যদি একটু কম দামিও থাকে তাহলেও আপনি এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে 4K রেজুলেশনে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

তাহলে চলুন আর কথা না বড়িয়ে দেখে নেয়া যাক কোন কোন অ্যাপস থাকছে- মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার লিষ্টের ৫ নম্বারে রয়েছে 

InShot - ইনশট

যারা ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম এর জন্য ভিডিও এডিটিং করে তাদের কেই টার্গেট করেই মূলত এই InShot অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হয়েছে তবে আপনি চাইলে এটি দিয়ে ইউটিউব ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।  

(In shot) ইনশট দিয়ে ভিডিও ইডিটিং করা খুবই সহজ। আবার এটি সব ফোনের সাথে পারফামেন্স ও ভালো করে। তাই আপনার ফোন যদি একটু কম দামিও হয়ে থাকে তারপরেও আপনি অসাধারণ ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।

এডিট করার জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনে আপনি মাল্টিলেয়ার পাবেন যেটির দ্বারা আপনি একটি ভিডিও উপরে আরো ইমেজ (Image) বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারবেন।

কালার কারেকশন এর জন্য থাকছে নানা রকমের ফিল্টার। যার দ্বার এর এক ক্লিক করে আপনি কালার পাল্টাতে পারবেন। 

এর সাথে ট্রেক্স যুক্ত করতে পারবেন মিউজিক যুক্ত করতে পারবেন এছাড়াও আপনি চাইলে ডিভিও রির্ভাস ও করতে পারবেন। 

এক কথাই একটা ভিডিও ইডিটিং করা জন্য মোটামোটি সবকিছু পেয়ে যাবেন এটিতে। ভিডিও রেনডার করার সময় এক ওয়াটার মার্ক চলে আসবে তবে খুব সহজেই এটি মুছেও দিতে পারবেন। রেনডার করার সময় যাষ্ট একটা অ্যাড দেখলেই ওয়াটার মার্কটা আর আসবে না। 

এর পর যে অ্যাপ্লিকেশন টি নিয়ে কথা বলবো তা হচ্ছে

VN - ভিএন

ভিএন অ্যাপ্লিকেশনটি ও বর্তমানে খুব জনপ্রিয় এবং খুবই ছোট একটি অ্যাপ্লিকেশন । এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে আপনি মাল্টিলেয়ার পাবেন,কালার ফিল্টার ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর সাথে FX টাও ব্যবহার করতে পারবেন। 

যেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনার ভিডিও অ্যানিমেশন করতে পারবেন। এফ-এক্স এর বিভিন্ন রকমের মুড রয়েছে সেগুলো দিয়ে ভিডিওটি চোখ লাগানো একটা ভাব আনতে পারবেন।

কলার কপারেশন সুবিধা রয়েছে । যখন আমরা ভিডিও ধরান করি তখন কালার এর একটু অসুবিধা থাকলেও আপনি এডিটিং করার মাধ্যামে তা ঠিক করতে পারেন। 

তাছাড়া মিউজিক অ্যাড করা বা সাউন্ড চেন্স করা বা রের্কড করা এসব তো থাকছেই। সবশেষ আপনার ভিডিও রেনডার দিলে দিতে পারবেন খুব সহজেই।

VLLO

VLLO হলো আরো একটি অসাধারন এবং জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন । বর্নিত সব অ্যাপ্লিকেশন গুলোর মতো এতোই আপনি পেয়ে যাবেন সব ধরনের সুবিধাই । 

যেটি সব থেকে বেশি পাবেন সেটি হচ্ছে এই অ্যাপ্লিকেশন আপনি 4K রেজুলেশনে ভিডিও রেনডার করলেও আপনার ভিডিও তে কোনো প্রকারের ওয়াটার মার্ক আসবে না।

আবার অ্যাপ্লিকেশন দিক থেকেও এটা খুব একটা ভারি অ্যাপস না। এখানেও আপনি মাল্টিলেয়ার, কালার কপারেশন, ফিল্টার, স্টিকার, টেক্সট এর সাথে অ্যানিমেশন করার সুবিধা 

এমনি স্টিকার টেক্সট ও পেয়ে যাবেন যার সাহায্যে খুব সহজেই আপনির ভিডিও দর্শন ধারি করতে পারবেন। রেনডার তো হবে 4k তাও আবার without watermark।

CapCut - ক্যাপকাট

স্মার্ট ফোন দিয়ে ভিডিও ইডিটিং করার জন্য CapCut হলো একটি প্রোপশনাল লেবেলের অ্যাপ্লিকেশন । অন্য সব অ্যাপ্লিকেশন এর মতো সব দিক তো থাকছেই । এই অ্যাপে যেটি বেশি থাকছে সেটি বলি। এই অ্যাপ্লিকেশন বেশি থাকছে স্পিড কন্টোল ।

এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে কার্ভ করে করে স্পিড কন্টোল করতে পারবেন। এমনকি এইটি দিয়ে আপনার ভিডিওর ব্যাকরাউন্ড পাল্টাতে পারবেন এক ক্লিক করে। কালার কারেশনের জন্য থাকছে দারুন সুব্যবস্থা।

সাথে থাকছে ফিল্টার, মাল্টিলেয়ার ,অ্যানিমেশন সেট করার উপাই ইত্যাদি। যারা বিশেষ করে টিকটক (Tiktok), লাইকি (Likee) এর জন্য ভিডিও বানাবেন তাদের জন্য সেরা অ্যাপস হবে এটি।

Kine Master Pro - কাইনমাস্টার প্রো

Kine Master Pro এর ব্যপারে আর নতুন করে আর কিছুই বলার মতো নাই । কেননা অ্যাপ্লিকেশনটি এতোটাই জনপ্রিয় যে এখনো অনেক বড়বড় ইউটিউবার ভাইয়েরা এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে আসছে।

উপরে আমরা যে চারটি অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলেছি তার সব কিছুই আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে করতে পারবেন। 

কিন্তু এতে কিছু অসুবিধা রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়াটারমার্ক। যদিও এটি নানা ভাবে তুলে ফেলা যাই তবে আজ এখানে আর এটা বলবো না।

আপনারা একটু খুজা খুজি করে পেয়ে যাবেন। আর একটি বিষয় হলো একটু ভালো মানের ফোন হলে এই অ্যাপ্লিকেশনটির পারফামেন্স অনেক ভালো পাবেন। আর আপনি যদি মনে করেন ভিডিও এক কোনে ওয়াটারমার্কে কোনো ব্যাপার না, তাইলে তো কোনো সমস্যাই নেই।

আবার আপনি চাইলে এটি প্রিমিয়াম কিনে নিতে পারেন। মোটামোটি সব ধরনের কাজ আপনি এটি দিয়ে করতেন পারবেন নিমেসেই। আর রেনডার এর ক্ষেতে তো আপনার যত খুশি আপনি ততো 

রেজুলেশনে রেনডার করতে পারবেন (সর্বোচ্চ 4K এবং সর্বনিম্ন 270p)। যারা স্মার্ট ফোন দিয়ে একে বারে প্রোপশনাল কাজ করতে চান তাদের জন্য সবথেকে ভালো হবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। 

এই সবকয়টি অ্যাপ্লিকেশন আপনারা Play store শুধু নাম লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুনঃ অতি গুরুত্বপূর্ণ সেরা অ্যান্ড্রাইড  অ্যাপস

আমাদের শেষকথা

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মধ্যে কোন সফটওয়্যার আপনার ভালো লেগেছে তা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। 

এই সফটওয়্যার গুলো ছাড়া আপনার পছন্দের সেরা অ্যাপস থেকে থাকে তাহলে সেটিও জানতে পারেন । আজ এই পর্যন্তই সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url